প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন মেহেরনামা গ্রামের খলিল আহমদের মেয়ে হুমাইরা আক্তার (১৯) ও একই ইউনিয়নের দক্ষিন মেহেরনামা সৈকত পাড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে ওয়াহিদুল ইসলাম (২৫)। তাদের বিয়েতে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় ৫লাখ টাকা। এতে লেখা রয়েছে নগদ আড়াই লাখ টাকা ও বকেয়া আড়াই লাখ টাকা। বিয়ের হলফনামায় লেখা হয়েছে তাঁরা একে অপরকে ভালবেসে কারো বিনা প্ররোচনায় বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন।
জানা গেছে প্রথমে ভাললাগা তারপর গভীর প্রেম। এরপর দুজনের সিদ্বান্তে ৫লাখ টাকা দেনমোহরে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে বিয়ে। বিয়ের পর ১৬মাসের ঘর-সংসার সবই হয়েছে ওয়াহিদুল ইসলাম ও হুমাইরা আক্তার দম্পতির। বিয়ের পর দুইজনের পরিবার তাদের বিয়ে মেনেও নিয়েছে। দুই পরিবারের মধ্যে ইতোমধ্যে আত্মীয়তার বন্ধনও সুদৃঢ হয়েছে। কিন্তু এক মাস সাতদিন আগে স্বামী ওয়াহিদুল ইসলাম যখন পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে বিদেশ ফাঁিড় জমিয়েছেন, ঠিক তখনই শাশুড় খলিল আহমদ মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে সদ্য ঘটনা সাজিয়ে বিয়ের ১৬মাস পর গত ৮জুন কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে একটি নালিশী (সিপি মামলা নম্বর- ৭৫৯) মামলা রুজু করেছেন। মামলাটিতে মেয়ের স্বামী প্রবাসী ওয়াহিদুল ইসলাম ছাড়াও তার পরিবারে আরো তিন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক বাদির নালিশী অভিযোগটি আমলে নিয়ে এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে পেকুয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে স্বামীর বাড়িতে অবস্থানরত ভিকটিম হুমাইরা আক্তার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তার বাবার দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গে মুঠোফোনে বলেন, আমি সাবালিকা। নিজের ভালমন্দ বুঝার ক্ষমতা আমার আছে। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি, আমি স্বেচ্ছ্য়া ওয়াহিদুল ইসলামকে ভালবেসে বিয়ে করেছি। ইতোমধ্যে তার সাথে সংসার জীবনও শুরু করি। বর্তমানে আমি তিন মাসের অন্তস্বর্ত্তা। পাল্টা প্রশ্ন করে হুমাইরা আক্তার বলেন, আমার বাবার দায়ের করা মামলাটির কোন ভিত্তি নেই। তিনি শুধু আমার স্বামীর পরিবারকে হয়রানী করার জন্য কারো প্ররোচনায় মামলাটি দায়ের করেছেন। আমি আদালতের সামনে আমার মনে কথা খুলে বলবো।
ওয়াহিদুল ইসলামের পরিবার সদস্যরা জানান, বিয়ের পর গত ১৬মাস ধরে তাদের বাড়িতেই আছেন নববধু হুমাইরা আক্তার। ইতোমধ্যে নববধু তিন মাসের অর্ন্তস্বর্তা হয়েছেন। বিয়ের পর এতদিন অতিবাহিত হলেও শাশুড় পক্ষ তার (ওয়াহিদুল ইসলাম) বিরুদ্ধে কোন ধরণের মামলা মোকাদ্দমা করেনি। কিন্তুগত এক মাস ৭দিন আগে পরিবারের অভাব অনটন দুর করতে ওয়াহিদুল ইসলাম বিদেশ চলে গেলে অনেকটা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে তার শাশুড় খলিল আহমদ মেয়েকে অপহরণের সদ্য ঘটনা সাজিয়ে আদালতে মামলা করেছে।
ওয়াহিদুল ইসলামের মা-বাবা অভিযোগ করেছেন, ১৬মাস আগে যেই মেয়ের বিয়ে হয়েছে, সেখানে কয়েকদিন আগে মাদরাসায় যাওয়ার পথে অপহরণ করার যে অভিযোগটি মামলার এজাহারে দেয়া হয়েছে তা হাস্যকর। এব্যাপারে আমরা আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করবো। #
পাঠকের মতামত: